শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
মদিনা কন্ঠ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর জন্য দেশের সকল জেলা উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক।
সর্বশেষ খবর
বরিশাল সিটি কলেজ এর উদ্যাগে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত ঝালকাঠিতে  লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি অর্জন, দিগন্ত জুড়ে আমনের মাঠ বরিশালের কামরুন নাহার আলোকিত নারী সন্মান পেলেন ভারতে রাজাপুরে পুকুরে বিষ দিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধন, দেড় লাখ টাকা ক্ষতি সাজা হয়েছিলো তিন মাসের পলাতক ছিলেন ৪০ বছর কেউ থাকতে দেয়না তাই তিন মাস ধরে পুকুরে মাঁচা বানাইয়া থাকি কোথাও জায়গা পাইনা হিজলায় নবাগত নির্বাহী অফিসের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা নড়াইলের মাঠে মাঠে সোনালি পাকা ধানের হাতছানি উৎসবের আমেজে চাষিরা ঝালকাঠিতে মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ এইচএসসি পরিক্ষার্থী নিহত আহত-১ ঝালকাঠিতে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা রোগীসহ আহত- ৭

লালদিঘীর সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ-চরমোনাই পীর

আলমগীর ইসলামাবাদী:: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। পুলিশের সদ্য অব্যাহতি দেওয়া এডিসি হারুনের হাতে বাংলাদেশের কত মানুষকে মারা হলো। তার ব্যাপারে তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ‘সোনার ছেলেদের’ মারার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হলো। এ কি ন্যায়বিচার? এটা হলো সম্পূর্ণ দলীয়করণের বিচার।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকাররে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করীম হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশীরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন প্িরতষ্ঠা করতে হবে। প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরী করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন র্ঊধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রেীয় উপদষ্টো প্রফসের ড. আফম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরফিুল ইসলাম রিয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রফিক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

লালদিঘীর সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ :

১. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন দিতে হবে।
২. প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।
৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রর্বতন করতে হবে।
৪. দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জডি়তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। লোডশেডিং-এর অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।
৫. অবিলম্বে বিনা বিচারে র্দীঘদিন ধরে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
৬. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।
৭. চট্টগ্রাম সিটির ভিতরে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।
৮. ডেঙ্গু দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এই মহামারী থেকে জনগনকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved ©  madinakantho.Com
Design & Developed BY Rahmatullah Palush