শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ১২:৫০ অপরাহ্ন
বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদি, মেমানিয়া হরিনাথপুর ও ধুলখোলা ইউনিয়নে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় সয়াবিনের বাম্পার ফলনেও কৃষকের মাথায় হাত। প্রতি বছরের ন্যয় এবছর সয়াবিনের বাম্পার ফলন হলেও, মাঠে যখন সয়াবিন পাকা আধাপাকা ঠিক সেই মুহূর্তে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে, চোখের দেখা পাকা সয়াবিন ঘরে তুলতে পারছে না অনেকেই।
গরিব কৃষকরা এনজিও সহ নানা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে জমিতে ফসল ফলায়, সেই ফসল নস্ট হওয়ায় দিশেহারা সয়াবিন চাষিরা কিভাবে পরিশোধ করবে এনজিও সহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে উত্তোলনকৃত ঋণের টাকা। সন্তানদের লেখাপড়া সহ সংসার পরিচালনায় দিশেহারা ওই চাষীরা।
হিজলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় অনেক জায়গায় পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট করে মাছের ঘের সহ ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে, যে কারণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার, ক্ষতি হচ্ছে জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়ার ফসলের।
চাষিরা জানান,তাদের ফসল সয়াবিন জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ ফসল নস্ট হয়ে গেছে। এখন আমাদের পাশে কোন জনপ্রতিনিধি সহ কোন অফিসাদের পেলাম না। পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকার যদি কোন ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা একটু বাঁচতে পারতাম। এ বছর অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির পানির কারণে অধিকাংশ সয়াবিন এখন পানির নিচে, অনেক ফসল নস্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আজাদ আল জনি বলেন এবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার একর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে। সয়াবিনের বাম্পার ফলন দেখে যখন চাষীরা আনন্দে মুখরিত ঠিক সেই মুহুর্তে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধতা সৃস্টি হয়ে অনেক ফসল নস্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির জন্য মাঠে তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে এবং জলাবদ্ধতার কারন খুজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।