শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: রাজশাহীতে এক রাতে ১৫ কৃষকের চারশো আমগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বাঘা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঘুম থেকে উঠে কাটা গাছগুলো দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষকরা। মাঠ থেকে বাড়ির সামনে কাটা গাছগুলো এনে ফেলা হচ্ছিলো আর চাষিদের পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছিলেন। হুট করে হাবাসপুর গ্রাম যেন শোকের গ্রামে পরিণত হয়ে যায়।
এ ঘটনায় কৃষক আবু সামা ও সাধন কুমার প্রামাণিক বাদী হয়ে সোমবার সকালেই বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এজাহারে তারা কারও নাম উল্লেখ করেননি। এর আগেও গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছিল। কারা, কী কারণে গাছগুলো কেটেছে, এ বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শোকার্ত বাগান মালিকরা খবর পেয়ে রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে কাটা গাছের ডালপালা বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়ির সামনে গাছের ডাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন বাইরে এসে আহাজারি শুরু করেন। স্থানীয় প্রবীর সরকারের প্রায় ১৮ বছরের ১৮টি, নিপেন্দ্রনাথ প্রামাণিকেরসহ তিন ভাইয়ের ১৮টি, সাধন কুমার প্রামাণিকের ১৫টি, তার ছোট ভাই রিপনের ১৫টি, আবু সামার ২৮টিসহ প্রায় ৩২ বিঘা জমির ৪০০ আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। জমিতে শুধু কাটা গাছের গোড়া দেখা যাচ্ছে। তাদের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। প্রায় ১৭/১৮ বছর বয়সী গাছগুলোর কোনোটিতে ৪ মণ, কোনোটিতে ৫ মণ করে আম ধরে।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে গাছ কাটার কথা শুনে বাগানে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঘা উপজেলায় আমের বাগানসমৃদ্ধ এলাকা হাবাসপুর। এ গ্রামের প্রায় সব জমিতে আমগাছ রয়েছে। এমনকি বাড়ির আঙিনায়ও আমগাছ। যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, সেগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে লাগানো হয়েছিল। এ জমিতে আগে শুধু ধান চাষ হতো।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন জানান, গাছ কাটার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।