শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত পীর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব। তিনি পীর সাহেব চরমোনাই নামে পরিচিত এবং বর্তমানে বহুল পরিচিত চরমোনাইয়ের চিশতিয়া সাবিরিয়া ইমদাদিয়া রশিদিয়া তরিকার প্রবর্তক ও প্রথম পীর। মৃত্যুর পর তিনি চরমোনাই অনুসারীদের কাছে ‘দাদা হুজুর’ নামে পরিচিত।
জন্ম গ্রহণ:- সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক ১৯১৫ সালে ( হিজরী ১৩৩৩; বঙ্গাব্দ ১৩১২) বরিশাল শহরের কীর্তনখোলানদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত পশুরীকাঠি গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সাইয়েদ আমজাদ আলী।
শিক্ষা জীবন:: তিনি কুরআন-হাদীসের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তার চাচাত মামা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল জাব্বারের কাছে । চরমোনাইয়ের অপর নাম আহসানাবাদ রাখা হয়েছে। তিনি উজানীর ক্বারী মুহাম্মদ ইবরাহীমের কাছে ক্বিরআত-সহ কুরআন শরীফ শিক্ষা লাভ করেন। তার কাছে সাত ক্বিরআত সমাপ্ত করে তিনি ভোলা দারুল হাদীস আলিয়া মাদরাসা থেকে জামাআতে উলা পাশ করেন। এবং তিনি ভারতের বিখ্যাত ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন।
আধ্যাত্মিক শিষ্যত্ব খিলাফত লাভ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করে তিনি ক্বারী মুহাম্মদ ইবরাহীমের কাছে আধ্যাত্মিক শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তার কাছ থেকে তরিকার খিলাফত লাভ করেন। তার অসংখ্য অনুসারী রয়েছে ।
মুক্তিযুদ্ধোর সময় ভূমিকা- মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। তিনি স্থানীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিল ও ক্যাপ্টেন আবদুল লতীফ এবং আরও অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা তার কাছে আসতেন, কথা বলতেন, পরামর্শ ও যুদ্ধে সাফল্য লাভের জন্যে দুয়া নিতেন। তারই প্রতিষ্ঠিত চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদ আলিয়া মাদ্রাসায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ছিল । মাদরাসায় তারা থাকতেন, যুদ্ধ থেকে ফিরে অবস্থান নিতেন।
মৃত্যু বরণ:: ১৯৭৭ সালে (১৩৮০ বঙ্গাব্দ; ১৩৯৬ হিজরী) ৬২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন এবং চরমোনাই ময়দানে মসজিদের কাছে তাকে দাফন করা হয়