শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ– বাঁশখালী উপজেলার দারুল কারীম মাদ্রাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারি বেলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ (২২ জানুয়ারি) শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা সদরের জি,এস প্লাজার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত সন্ত্রাসী বেলালের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও লোকজনকে মারধর, হুমকি ধমকি ও চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষক ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০,১১ ও ১২ জানুয়ারি বাঁশখালী পৌরসদরে অনুষ্ঠিত দারুল কারীম মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় দাওয়াত না দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই মাদ্রাসার পরিচালক বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীর ওপর গত ১৭ জানুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উত্তর জলদী বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার মৃত আবদুল মাজেদের পুত্র মো. বেলাল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী বেলাল সাংবাদিক চাটগামীর উপর চলন্ত মোটর সাইকেল তুলে দেওয়াসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও মারধর করে।
ঘটনার পর পরই মাদ্রাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী হামলাকারী সন্ত্রাসী বেলালকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৫ দিন পর শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা সদরের জি,এস প্লাজার সামনে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করার সময় সন্ত্রাসী বেলালকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এর আগে গত কাল সকালে দারুল কারীম মাদ্রাসার সামনে তার লোকজন নিয়ে মহড়া ও আতঙ্ক সৃষ্টিসহ মামলার বাদীকে হুমকি ধমকি দিচ্ছিল সন্ত্রাসী বেলাল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানার এসআই দীপক কুমার সিংহ জানান, ‘মাদ্রাসা পরিচালক ও সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামীর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী বেলালকে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরার সময় জি,এস প্লাজার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী গ্রেফতারকৃত বেলালকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের ওয়ারেন্টভূক্ত আরও একটি মামলা পাওয়া গেছে। এর বাহিরেও অন্য কোন মামলা আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।