শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গত কয়েকদিনের চেয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমেছে। তিস্তার পানি কমায় শুরু হয়েছে ভাঙন, হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিস্তা নদীর ভাঙনে শতশত বিঘা জমি ও ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের নতুন দুর্ভোগ নদী ভাঙন। তিস্তা নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ নানা স্থাপনা। উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ি, চর খড়িবাড়ি, কিসামত ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি, ছোটখাতা বাইশপুকুরসহ তিস্তার ভাঙনে অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলার দোহলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহারুল ইসলাম বলেন , তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে জমিসহ বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তিস্তার তীরে বন্যা ও ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে তিস্তা খনন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
ছোটখাতা গ্রামের নদী ভাঙনের শিকার মজিনুর রহমান বলেন, এবারের নদী ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাই। বাপ দাদার ভিটে হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। কোথায় দাঁড়াবো বুঝতে পারছি না।
খগা খড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, তিন্তা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর এভাবে ভাঙনের শিকার হয়ে আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি কমায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। তিস্তার ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব দিয়ে রোধ করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, আমরা নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।