শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ০১:১৩ অপরাহ্ন

নোটিশ
দেশ-বিদেশের সকল আপডেট খবর পেতে ভিজিট করুন অনলাইন ভার্সন ‘মদিনা কন্ঠ ’ ধন্যবাদ। দেশব্যাপি সংবাদদাতা নিয়োগ চলছে । 

কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য

বাঁশখালীর জলদী দারুল কারীম মাদরাসা

আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বাঁশখালীর জলদী দারুল কারীম মাদরাসা ও বাঁশখালী মডেল মাদরাসার যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে শুরু হওয়া এই মাহফিল শনিবার রাতে আলোচিত ধর্মীয় আলোচক মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা হুজুরের আখেরী বয়ান ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

চাম্বল দারুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ আবদুল জলিল ও বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ আহমদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান পরিচালক ইসলামী স্কলার মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা। মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামীর পরিচালনায় মাহফিলে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা হুজুর।

বক্তব্য রাখেন, ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা আজিজুল হক আল মাদানী, পবিত্র হজের বাংলা অনুবাদকারী আল্লামা ড. শোয়াইব রশীদ মক্কী, মাওলানা মুফতি মাহমুদ আনোয়ার, পটিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা কাজী আকতার হোসাইন, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী, মাওলানা হাবিবুল ওয়াহেদ, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ রফিকী, মাওলানা নুরুল কাদের শাকের, মাওলানা হাফেজ ফরিদ আহমদ আনসারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা আবু আইমন, মাওলানা খালেদুর রহমান, মাওলানা আনিস বিন আবু বকর, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, মাওলানা ইউনুস প্রমুখ। মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আবদুল মাবুদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মাওলানা জাফর আহমদ, আধুনিক হাসপাতালের এমডি শোয়াইবুর রহমান, মিয়ারবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মাওলানা হামেদ ও আজিজ আহমদসহ প্রমুখ।

হাজার হাজার মুসল্লীর উপস্থিতিতে ওয়াজ মাহফিলে বক্তাগণ বলেন, নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঈমান-আকিদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরিয়তবিরোধী সব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী। তাই কোনো অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা বলেন, ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। একে অন্যকে অভিযুক্ত করার প্রবণতা পরিহার করে মতপার্থক্যের যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলোকে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি ও সংশোধন করা গেলে মুসলিম উম্মাহকে কার্যকর ঐক্যবদ্ধ ও স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করে তোলা সম্ভব। বক্তাগণ বলেন, উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে সব মুসলিমকে একত্রিত করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সংযমের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সাদৃশ্যের বন্ধনকে জোরদার করতে হবে এবং পরিত্যাগ করতে হবে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা। একই সাথে চরমপন্থা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথেও মুসলমানদের সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে হবে।উক্ত মাহফিলে আগত প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,বাঁশখালীর মধ্যে এত বড় মাহফিল আর হয়নি,পুরো মাহফিল স্থলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে, এত মানুষের উপস্থিতি,বাঁশখালীর কোন মাহফিলে আমরা আর দেখিনি,এখানে বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন ৷

মাহফিলের সমাপনী দিনে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা।

নিউজ টি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন:-


© All rights reserved © 2018 MadinaKantho.com
Design & Developed BY Madina Kantho
error: Content is protected !!