শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: অবশেষে দৃশ্যমান হলে পুরো পদ্মা সেতু-সত্যি হলো স্বপ্ন। সংযুক্ত হলো পদ্মার এপাড়-ওপাড়, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে ওই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৩ বছর ২ মাস ১০ দিনে ৪১টি স্প্যান বসলো পদ্মা সেতুতে। এরমধ্য দিয়ে পুরো সেতুর কাঠামো দাঁড়িয়ে গেছে।
দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুতে এসব স্প্যান বসছে ৪২টি পিয়ার বা খুঁটির ওপর। স্প্যানের ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া আর শরীয়তপুরের জাজিরার সংযোগের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলা ঢাকার সঙ্গে সহজ যোগাযোগের আওতায় আসবে
সংশ্লিষ্টরা জানান, সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে করে মাওয়ার কুমারভোগ এলাকার কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নিয়ে আসা হয়। ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর সেটি বসানোর পরই জুড়ে যায় বিশাল পদ্মার দুই পার।
৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ৩ বছর ২ মাস ১০ দিনে একে একে বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪১টি স্প্যান মিলে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দুই পাড়ে আরো ৩.১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কসহ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩০ কিলোমিটার। চার লেনের সেতুর প্রস্থ ৭২ ফুট।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরবরাহ করা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগিত ৯১ শতাংশ, নদীশাসন কাজের ৭৫.৫০ শতাংশ, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এলাকার কাজের শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২.৫০ শতাংশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, সার্বিকভাবে সেতুতে যান চলাচল শুরু করা যাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে।